ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শিক্ষক রথীন্দ্র কুমার দাস স্মরণে শোকসভা টিলা কেটে সরকারি জায়গায় ইউপি চেয়ারম্যানের বহুতল মার্কেট ছয় থানার ওসি বদলি কমিশনকে নজরে রাখবে রাজনৈতিক দলগুলো সালমান-আনিসুল হক ফের রিমান্ডে দেশের বিদেশি ঋণের পরিমাণ ১০৪ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগে সহায়তা দেবে জার্মানি হাওরকে বাঁচতে দিন আগস্টে সড়কে ঝরেছে ৪৭৬ প্রাণ কৃষি গুচ্ছের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ২৫ অক্টোবর “অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে হবে, তবে তা সীমাহীন নয়” ইজারাকৃত সব জলমহালের সীমানা নির্ধারণের দাবিতে বিক্ষোভ পদ হারিয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরছেন আ.লীগ নেতারা সাবেক ৩ সিইসি’র বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা নিহতদের পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা হাওর উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে: মহাপরিচালক হাওর উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে: মহাপরিচালক অন্তর্বর্তী সরকারকে যেকোনও সহযোগিতা করতে প্রস্তুত ইউনেস্কো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি প্রধান বিচারপতির ১২ নির্দেশনা চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর বিবেচনার অনুরোধ

ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলিবিদ্ধ রিপনের পরিবারের মানবেতর জীবন

  • আপলোড সময় : ২২-০৮-২০২৪ ০২:০১:০৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-০৮-২০২৪ ০২:০১:০৪ অপরাহ্ন
ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলিবিদ্ধ রিপনের পরিবারের মানবেতর জীবন
সুনামগঞ্জে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে এখন ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছেন শহরতলির মাইজবাড়ি গ্রামের দিনমজুর রিপন মিয়া (১৮)। গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিতে গুলিবদ্ধ হন তিনি। সদর থানার সাবেক ওসি খালেদ চৌধুরীর গুলিতে রিপন গুরুতর আহত হন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি রিপন মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার পর পরিবারের লোকজন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পাশাপাশি স্বজনের জন্য অস্থির সময় পার করছেন পরিবারের লোকজন।
 
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রিপন মিয়া সুনামগঞ্জ শহরতলির মাইজবাড়ি গ্রামের কামাল উদ্দিন ও আছর বিবি দম্পতির বড় সন্তান। ৩ বোন ও ১ ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়। বাবা অসুখ-বিসুখে বাড়িতেই পড়ে থাকেন। সংসারের হাল ধরতে ৭ম শ্রেণিতে পাঠদানের সময়ই একটি দোকানে শ্রমিকের কাজে নামেন রিপন। অনেক কষ্টে সংসার চালাতেন রিপন। গত ৪ আগস্ট স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে নামেন দিনমজুর রিপন মিয়া। এক পর্যায়ে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। এতে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন রিপন। সদর থানার তৎকালীন ওসি খালেদ চৌধুরী তার পায়ে নল ঠেকিয়ে গুলি করেন। এতে গুরুতর আহত হন রিপন। পরবর্তীতে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।
 
গুলিবিদ্ধ কিশোর রিপন বলেন, হামলার সময় আমি দোকান থেকে বাড়ি যেতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু পুলিশের গুলাগুলিতে একটি বাসার গ্যারেজে আশ্রয় নিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাকে সেখানে খোঁজে গিয়ে সরাসরি গুলি করে। আমি অনেক কাকুতি-মিনতি করি কিন্তু পুলিশের কোনো দয়া হয়নি। আমাকে যে গুলি করেছে আমি তার বিচার চাই।
 
এদিকে রিপন মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার পর থেকেই তার পরিবার মানবেতর জীবন-যাপন করছে বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। রিপন মিয়ার মা আছর বিবি বলেন, আমার ছেলের আয়েই সংসার চলতো। সে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। তিনি বলেন, আমার ছেলেসহ অসংখ্য নিরীহ ছাত্র-জনতার উপর যারা হামলা করেছে তাদের বিচার চাই। তিনি বলেন, আমরা কিছু পাই বা না পাই হামলাকারীদের বিচার হলে আমরা শান্তি পাবো।
 
রিপন মিয়ার ছোট বোন রোজিনা বেগম বলেন, আমার ভাইয়া গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে আমাদের পরিবারের সবাই কষ্টে আছি। জানিনা আমার ভাই আগের মতো স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা করতে পারবে কি না। আমার ভাইকে সুস্থ দেখতে চাই।
 
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার এমএন মোর্শেদ বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর গুলি চালানোর কোন নির্দেশ ছিল না। মাঠপর্যায়ে কিছু অতিউৎসাহী কর্মকর্তা নিজ দায়িত্বে এই অন্যায় আচরণ করে থাকলে তাদের বিচার করা হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স