সুনামগঞ্জ , শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫ , ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিএনপিতে চাঁদাবাজের ঠাঁই নেই : মাহবুবুর রহমান ৯ মাসে ছয়শ’র বেশি ধর্ষণ এনসিপির কেন শাপলাই চাই? সুনামগঞ্জে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হলো শারদীয় দুর্গোৎসব ৪০০ ছাড়িয়েছে কাঁচা মরিচ, শতকের কাছাকাছি বেশিরভাগ সবজি ‎জামালগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা দেখার হাওর ঢেকে যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে উকিলপাড়ায় পাইপলাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস নির্গমন : দুর্ঘটনার আশঙ্কা দুর্গাপূজা : মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য পূজামন্ডপ পরিদর্শন করলেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি ৩ ফার্মেসিকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা পথে যেতে যেতে: পথচারী সুনামগঞ্জ পৌর শহরে স্পিডব্রেকারগুলো যেন মরণফাঁদ! ‎জামালগঞ্জে 'উন্নতি সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতির' শিক্ষা উপকরণ ও  বস্ত্র বিতরণ সুনামগঞ্জে 'ধর্ষণ মামলায়' আসামিদের শাস্তির দাবিতে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন নির্বাচনের প্রস্তুতি অনেক এগিয়ে নিয়েছি : সিইসি আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদন্ড আজীবন জনগণের সেবা করতে চাই : পাবেল চৌধুরী ফার্মেসিতে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে ‘ফিজিশিয়ান স্যাম্পল’

ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলিবিদ্ধ রিপনের পরিবারের মানবেতর জীবন

  • আপলোড সময় : ২২-০৮-২০২৪ ০২:০১:০৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-০৮-২০২৪ ০২:০১:০৪ অপরাহ্ন
ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলিবিদ্ধ রিপনের পরিবারের মানবেতর জীবন
সুনামগঞ্জে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে এখন ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছেন শহরতলির মাইজবাড়ি গ্রামের দিনমজুর রিপন মিয়া (১৮)। গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিতে গুলিবদ্ধ হন তিনি। সদর থানার সাবেক ওসি খালেদ চৌধুরীর গুলিতে রিপন গুরুতর আহত হন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি রিপন মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার পর পরিবারের লোকজন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পাশাপাশি স্বজনের জন্য অস্থির সময় পার করছেন পরিবারের লোকজন।
 
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রিপন মিয়া সুনামগঞ্জ শহরতলির মাইজবাড়ি গ্রামের কামাল উদ্দিন ও আছর বিবি দম্পতির বড় সন্তান। ৩ বোন ও ১ ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়। বাবা অসুখ-বিসুখে বাড়িতেই পড়ে থাকেন। সংসারের হাল ধরতে ৭ম শ্রেণিতে পাঠদানের সময়ই একটি দোকানে শ্রমিকের কাজে নামেন রিপন। অনেক কষ্টে সংসার চালাতেন রিপন। গত ৪ আগস্ট স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে নামেন দিনমজুর রিপন মিয়া। এক পর্যায়ে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। এতে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন রিপন। সদর থানার তৎকালীন ওসি খালেদ চৌধুরী তার পায়ে নল ঠেকিয়ে গুলি করেন। এতে গুরুতর আহত হন রিপন। পরবর্তীতে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।
 
গুলিবিদ্ধ কিশোর রিপন বলেন, হামলার সময় আমি দোকান থেকে বাড়ি যেতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু পুলিশের গুলাগুলিতে একটি বাসার গ্যারেজে আশ্রয় নিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাকে সেখানে খোঁজে গিয়ে সরাসরি গুলি করে। আমি অনেক কাকুতি-মিনতি করি কিন্তু পুলিশের কোনো দয়া হয়নি। আমাকে যে গুলি করেছে আমি তার বিচার চাই।
 
এদিকে রিপন মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার পর থেকেই তার পরিবার মানবেতর জীবন-যাপন করছে বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। রিপন মিয়ার মা আছর বিবি বলেন, আমার ছেলের আয়েই সংসার চলতো। সে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। তিনি বলেন, আমার ছেলেসহ অসংখ্য নিরীহ ছাত্র-জনতার উপর যারা হামলা করেছে তাদের বিচার চাই। তিনি বলেন, আমরা কিছু পাই বা না পাই হামলাকারীদের বিচার হলে আমরা শান্তি পাবো।
 
রিপন মিয়ার ছোট বোন রোজিনা বেগম বলেন, আমার ভাইয়া গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে আমাদের পরিবারের সবাই কষ্টে আছি। জানিনা আমার ভাই আগের মতো স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা করতে পারবে কি না। আমার ভাইকে সুস্থ দেখতে চাই।
 
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার এমএন মোর্শেদ বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর গুলি চালানোর কোন নির্দেশ ছিল না। মাঠপর্যায়ে কিছু অতিউৎসাহী কর্মকর্তা নিজ দায়িত্বে এই অন্যায় আচরণ করে থাকলে তাদের বিচার করা হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স